বাংলাদেশের প্রকৃত বেকার সংখ্যা ও জব
বাংলাদেশের প্রকৃত বেকার সংখ্যা কত তা আমাদের সবারই মনে প্রশ্ন? প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সফলতার সাথে পাশ করে বের হয় কিন্তু তারা সবাই সঠিক জব (Govt-job) পায় না। শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বা প্রকৃত বেকারের সংখ্যা কত? বর্তমানে বাংলাদেশে পাবলিক ইউনিভার্সিটি থেকে বের হচ্ছে প্রায় পাঁচ লাখ শিক্ষার্থী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হচ্ছে এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 2 লক্ষ সেইসাথে চার কোটি বেকার রয়েছে (যুগান্তর) ।
তাই এত বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী জবের (Govt-job) জন্য একসাথে চেষ্টা করছে । বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো থেকে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে চারকোটি কর্মক্ষম ব্যক্তি । যাদের কাজ করার সামর্থ্য আছে কিন্তু কাজ করতে পারছে না প্রতিবছর 7 লক্ষ নতুন বেকার তৈরি হচ্ছে এবং সবাই জবের (Govt-job) জন্য ট্রাই করছে।
এর মধ্যে শুধুমাত্র 5% অপরচুনিটি আছে গভর্মেন্ট জবে (JOB) সরকার 95 শতাংশই প্রাইভেট জব। কিন্তু আমাদের দেশে চাকরির কোন অভাব নেই কিন্তু প্রকৃত জব খুঁজে পাচ্ছে না কেউ । যার কারণে স্বাভাবিকভাবেই বেকার হয়ে বসে থাকতে হচ্ছে ।
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত পাকিস্তান শ্রীলঙ্কা থেকে প্রতিবছর অনেক স্কিলড ম্যানপাওয়ার যোগ হচ্ছে প্রতিবছর 65 হাজার কোটি টাকা বিদেশীরা নিয়ে যাচ্ছে। 65 হাজার কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে প্রতিবছর। কেন? আমাদের শিক্ষার্থীরা কমপিট করতে পাচ্ছে না ।
আমাদের ইউনিভার্সিটিগুলো যে পড়াশোনা করাই চাকরি জীবনে পদার্পণ করে তারা কিছু শূন্যতা অনুভব করে। উজিছি UGC রিপোর্ট অনুযায়ী তিনটি কারণে জব পায়না।
এক নাম্বারঃ Govt-job পেতে কমিউনিকেশন স্কিল দরকার
আমাদের শিক্ষার্থীদের ভাল কমুনিকেসন করার ক্ষমতা সবার থাকে না যারা ভাল কমুনিকেসন স্কিল্ ভাল তারা ভাল জব পাচ্ছে।
দুই নম্বরঃ ছাত্রছাত্রীরা ইংলিশ বলতে পারে না
আপনি যখন কোন জবে এপ্লাই করবেন ইন্টারভিউ বোর্ডে আপনাকে কোশ্চেন করা হবে তখন ইংরেজির দক্ষতা যাচাই করা হয়।
তিন নম্বরঃ আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের ভালো উপস্থাপন করার ক্ষমতা নেই
অর্থাৎ যেকোনো একটা বক্তব্য সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার চেয়ে যোগ্যতা । এটা অনেকেরই নাই। এখন আসি চাকরির বাজার 7 লক্ষ চাকরিপ্রার্থী নতুন বের হচ্ছে তাদের সবারই ইচ্ছা থাকে সরকারি চাকরির জন্য।
কোনো কোনো পদ যেগুলো একেবারেই নিম্নস্তরের যেমন অষ্টম শ্রেণীর পদ অথবা হতে পারে তৃতীয় শ্রেণীর পদ গুলো কিন্তু দেখা যায় 15 থেকে 20 বছর ধরে তারা সরকারি চাকরি করতে করতে স্কিল ডেভেলপ করতে থাকে কিন্তু প্রাইভেট কোম্পানিগুলোতে অবশ্যই শুরুতেই একজন দক্ষ কর্মী প্রয়োজন হয় ।
এজন্য অদক্ষ কর্মীর সরকারিতে কিছুটা সুযোগ পেলে ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোতে অদক্ষদের ভালো জব পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম ।
তাই 95% চাকরিপ্রার্থী হতাশ হয়ে যায় যেহেতু তাদের মুখস্থবিদ্যার দিয়ে প্রাইভেট চাকরিতে তারা উত্তীর্ণ হতে পারে না এবং তারা হতাশ হয়ে যায় এবং তাদের জীবন যুদ্ধে পরাজিত মনে করে ।
অনেকে ফাইভার এর মত ফ্রিলাঞ্চিং এর কাজ করছে। যদিও বাংলাদেশে এখন ফ্রিলাঞ্চিং Freelancing খুব ভাল সম্ভাবনা। অনেকে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করছে ফ্রেলাঞ্চিং করে। যদিও এর জন্য একটা দক্ষতা দরকার।
Fiverr এর আকাউন্ট খুলুন
এভাবে বিদেশের বা বাহিরের প্রার্থী রা সেই শূন্যস্থান গুলোকে বেশি দক্ষতা দিয়ে পূরণ করে নেয় এবং উচ্চ বেতনে জব করে। তাই দেশের সমস্ত শিক্ষার্থীদের এই তিনটি বিশেষ গুন অর্জন করতে হবে। এর জন্য কোন একাডেমী পড়াশুনা দরকার নাই। দরকার নিজের একান্ত আগ্রহ।
More Stories
চন্দ্রবোড়া সাপ কামড়ালে কি করা উচিত
সাপ্তাহিক চাকরির খবর ২০২৪
রাসেল ভাইপার কেন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে