Colorgeo.com

Disaster and Earth Science

মিশেল ওবামা বই Becoming রিভিউ

Spread the love

মিশেল ওবামা বই Becoming রিভিউ

আমি একটি বইয়ের সামারি করব বইটির নাম বিকামিং বইটি লিখেছেন আমেরিকার সাবেক First Lady বারাক ওবামার স্ত্রী মিসেল ওবামা ।

 

বিকামিং এই বইটিতে কি রয়েছে এখান থেকে আপনি কি শিখতে পারবেন। এই বইটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে একটি কৃষ্ণ বর্ণের বালিকা দরিদ্র ফ্যামিলি থেকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট এর স্ত্রী হতে পেরেছিলেন। এই বইটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে আপনার বিশ্বাস এবং অনুভব আপনাকে উৎসাহ দিবে, পৃথিবীতে যত কিছু মন্দ যা কিছু পরিবর্তন করা দরকার। এই বইটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন মিশেল ওবামার জীবনের শিক্ষা, কিভাবে দুঃখ আপনাকে জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেবে। আপনি জানতে পারবেন কিভাবে আপনার সচেতনতা জীবনকে পরিবর্তন করে দেয়। আপনি জানতে পারবেন কেন একটি অনন্য ধারণা সম্পত্তির থেকেও মূল্যবান। বিকামিং বইটিতে যে অধ্যায়গুলো রয়েছে তা হলোঃ

মিশেল ওবামা র এই Becoming  বইটিতে যে প্রশ্নের উত্তর পাবেন

নিজেকে প্রশ্ন করার সময় এসেছে আমি কে ?

পিতা-মাতার ভালোবাসা সমস্ত দুঃখ দুর্দশা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে 

নিজের একটি অবস্থান তৈরি করতে শুধু সাহসই যথেষ্ট 

ভালোবাসা কখনোই বলে কয়ে আসেনা 

প্রিয়জন হারানোর বেদনাই আমাদেরকে জীবনের প্রকৃত শিক্ষা প্রদান করে 

আমাদের মূল্যবোধ যেকোনো অর্থ সম্পত্তির থেকেও বেশি সন্তুষ্টি দেয় 

যারা বঞ্চিত পীড়িত তাদের পাশে আমাদের দাঁড়ানো উচিত

নিজেকে প্রশ্ন করার সময় এসেছে আমি কে ? 

শিশুদের আমরা সবসময় প্রশ্ন করে থাকি যে তুমি বড় হয়ে কি করবে? তুমি বড় হয়ে কি হতে চাও? তোমার প্রিয় পেশা কি হতে পারে? তুমি কি ডাক্তার হবে নাকি ইঞ্জিনিয়ার হবে নাকি বৈজ্ঞানিক হবে নাকি একজন ব্যবসায়ী হবে? ছোট বেলায় আমরা আমাদের কাল্পনিক পেশা গুলোকে মুহূর্তেই ঠিক করে দিতে পারতাম কিন্তু যখন বয়স বাড়তে থাকে তখন আমাদের সময়ের সাথে সাথে ব্যক্তিত্ব পরিবর্তন হতে থাকে এই ব্যক্তিত্ব পরিবর্তন হওয়ার মধ্য দিয়েই আমাদের প্রকৃত গন্তব্য নির্ধারিত হয়।

 

মিসেল ওবামা  ২০১৮ সালে তার জীবনের ঘটনাগুলো বই আকারে প্রকাশ করেন। ৫৪ বছর বয়স্কা এই নারী আমেরিকার সাবেক ফার্স্ট লেডি তিনি তার জীবনের ঘটনাগুলোকে তুলে ধরেছেন। তিনি একজন  নারী উদ্যোক্তা একজন ইনফ্লুয়েন্সার এবং একজন মমতাময়ী মা। তিনি তার জীবনের সমস্ত সফলতা গুলোর পিছনের ঘটনাগুলোকে প্রকাশ করেছেন তার অনুপ্রেরণামূলক বইগুলোতে বিকামিং তেমনি একটা বই।

মিসেল ওবামা তার জীবনের সমস্ত ক্ষেত্রেই সফলতা দেখিয়েছেন। তিনি তার জীবনে একজন আইনজীবী হিসেবে তার পেশা বেছে নেন পরবর্তীতে আমেরিকার ফাস্ট লেডি হওয়ার পরে তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ঘুরিয়ে বেড়িয়েছেন। সারা বিশ্বের কূটনৈতিক মিশন এবং অন্যান্য কাজেও ভ্রমণ করেছেন। তিনি সমাজ সংস্কারের জন্য দাতব্য সংস্থা তৈরি করেছেন। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে তিনি একজন ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তার স্বামী। তারা দুজন মিলে সুন্দর একটি সুখী সংসার গড়ে তুলেছেন। মিশেল ওবামা অন্যের সাহায্যের জন্য তার জীবনের অনেক সময় ব্যয় করেছেন। আজ আমরা বিকামিং বইটিতে তাহার জীবনের গল্প শুনবো এবং সেগুলো থেকে আমরা শিক্ষা নেব।

মিশেল ওবামা
হতাশা নিয়ে উক্তি

পিতা-মাতার ভালোবাসা সমস্ত দুঃখ দুর্দশা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে 

 

মিশেল ওবামা আমেরিকার শিকাগো শহরে ১৯৬০ সালের থেকে ১৯৭০ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা একটি ভাড়া বাসার দ্বিতীয় তলায় থাকতেন। মিশেল ওবামার মায়ের কাকি হল ঐ বাসার মালিক। তারা নিচতলায় থাকতো এবং নিয়মিত গানের আসর বসতো। মিশেল ওবামা গান শিখেছিল বিশেষ করে পিয়ানো বাজানো টা পাঁচ বছর বয়স থেকেই সে শুরু করেছিল। তাই তাদের শৈশবেই গানের পরিবেশের সাথে একটি ভাল বোঝাপড়া হয়েছিল। মিসেল ওবামার পারিবারিক নাম রবিনসন। তার পিতা ফ্রেজার রবিনসন একটি কারখানায় কাজ করতেন এবং মিশেল ওবামার মা গৃহিণী।  মিশেল ওবামার একটি ভাই ছিল নাম তার ক্রিগ। মিশেল ওবামা তার থেকে  দুই বছরের ছোট। 

তাদের পরিবার সুন্দরভাবেই চলছিল হঠাৎ তার বাবার একটি রোগ ধরা পড়ে মাল্টিপল ক্লোরোসিস। তিনি দু পায়ে দাঁড়াতে পারতেন না তাই স্ক্রাচে ভর করে চলতে হতো। এভাবে পরিবারের মধ্যে একজন রোগী থাকা পরেও তারা সবকিছু স্বাভাবিকভাবে মেনে নিয়েছিল। মিশেল ওবামার বাবা এবং মা ছোট বয়স থেকেই তাদের সাথে সবকিছু বিষয়েই আলোচনা পরামর্শ করতো। ১৯৭০ সালের দিকে যখন জাতিভেদ বর্ণভেদ তুঙ্গে তখনও মিসেল ওবামা এই সামাজিক বৈষম্যকে গুরুত্ব দেননি। তার বাবা-মা তাকে শিখিয়েছিল কঠিন পরিশ্রম এবং সঠিকভাবে কাজ করলে সফলতা আসবে। পিতা মাতা মিশেল ওবামাকে বুঝিয়েছিল যে বৈষম্য এবং বর্ণভেদ তার সফলতার পেছনে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। মিশেল ওবামা সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে হালকাভাবে নিয়েছিল ।

নিজের একটি অবস্থান তৈরি করতে শুধু সাহসই যথেষ্ট 

মিশেল ওবামা যখন কিশোরী ছিলেন তখন থেকেই তিনি খন্ডকালীন জব করতেন যাতে তার পরিবারকে সে সাহায্য করতে পারে এবং যেসব বঞ্চিত মেয়েদেরকে তিনি শিক্ষা দিতেন ভালো স্কুলে পড়ার জন্য তাদের নিজেদের জীবনকে উন্নত করার জন্য কাজ করে যেতেন। এত কিছুর মধ্যেও তিনি পরিবারকে সহযোগিতা করতেন। তার ভাই এবং সে প্রিন্সটন অঙ্গ রাজ্যে এসে বসবাস করতে লাগলো পড়াশোনার উদ্দেশ্যে। তার পিতা একটি সাধারণ পরিবারের মানুষ যেখানে তাদেরকে সহযোগিতা করার জন্য পর্যাপ্ত দায়িত্বশীলতা দেখাতে হবে। মিশেল ওবামার পিতামাতা জীবনে কখনো ভাল রেস্টুরেন্টে যাননি অথবা ভালো বাড়িতে বসবাস করেনি এতোটাই দারিদ্রতা ছিল । মিশেল ওবামা প্রিন্সটনে এসে নতুন পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিলেন এবং অনেক বন্ধু বান্ধবী খুঁজে পেলেন। সংখ্যালঘু হওয়ার কারণে তাদেরকে অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে চলতে হতো। কিন্তু শিকাগো দক্ষিণ সাইডে কোন ভয়ংকর ও অনিরাপদ জায়গা ছিল না । মিসেল ওবামা প্রতিদিন তার প্রতিকূল পরিস্থিতিকে উন্নত করার জন্য সংগ্রাম করে যেতেন কারণ তার দাদার বাবা ছিলেন একজন দাস কেনাবেচার মহাজন।

ভালোবাসা কখনোই বলে কয়ে আসেনা 

শিক্ষার অভাবে তাদের পূর্ব পুরুষ জীবনটা উন্নত করতে পারেনি। প্রিন্সটনে এসে মিসেল ওবামা  হারবার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক করার জন্য ভর্তি হলেন। এজন্য তার পরিবার তাকে নিয়ে গর্ববোধ করে। এরপরে মিশেল ওবামা একটি আইন বিষয়ক প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেয়ে যায়। সে একটি গাড়ি কেনে এবং একটি ব্যক্তিগত সহকারীকে রাখে সব মিলিয়ে সে এখন  দারিদ্র থেকে মুক্ত হতে পেরেছে। কাজে খুব মনোনিবেশ করত এবং সেই সময়ে তার জীবন একটা মানুষ প্রবেশ করে এবং তার জীবনকে পরিবর্তন করে দেয়। তার নাম বারাক ওবামা। মিশেল ওবামার ফার্মে বারাক ওবামা যোগদান করে একজন ইন্টার্ন হিসাবে। বারাক ওবামা ঐ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র হওয়ায় একাডেমিক নিয়ম অনুসারে  ইন্টার্নশিপ করতে হত কোন একটি প্রতিষ্ঠানে। বারাক ওবামার শিক্ষক মিশেল ওবামা। মিশেল ওবামা, বারাক অবামার থেকে তিন বছরের ছোট। বারাক ওবামা একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতো। বারাক ওবামা আইন অনুষদে অন্তর্ভুক্ত হন। তার একটি এম্বিশন ছিল সে পৃথিবীটাকে চেঞ্জ করতে চায়। 

 

বারাক ওবামার মা একজন শ্বেতাঙ্গ মহিলা ও আমেরিকান। ১৭ বছর বয়সে যখন হাওয়ায় দ্বীপে পড়াশুনা করতো তখন একজন কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন কিন্তু বিবাহের কিছুদিন পরেই তাদের একটি পুত্র সন্তান জন্ম হয়। কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষটি তার জীবন থেকে চলে যায় এবং তাদের একটিমাত্র সন্তান তার নাম বারাক ওবামা II যিনি ই পরবর্তীতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। মিসেল ওবামা ও বারাক ওবামা একে অপরের সাথে মিশে গেল। তখন তারা দুজনেই একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য এবং পরিকল্পনায় নিয়োজিত করতে পারল এবং তারা একে অপরকে সাহায্য করার জন্য আরো ঘনিষ্ঠ হলো। বারাক ওবামা বুঝতে পারলেন যে মিশেল ওবামা যে পরিবেশে বড় হয়েছে অন্য আগত নতুন প্রজন্মের শিশুদের জন্য সেই পরিবেশকে পরিবর্তন করতে চায় । বারাক ওবামা তাকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিল। 

প্রিয়জন হারানোর বেদনাই আমাদেরকে জীবনের প্রকৃত শিক্ষা প্রদান করে 

এর মধ্যে মিশেল ওবামার একজন বান্ধবী নাম সুজানা মারা গেলও। কলেজের বন্ধু। তারা একই রুমে থাকতো যদিও তাদের অনেক মতপার্থক্য ছিল কিন্তু তারা দুজন বন্ধুত্ব অনেকদিন টিকিয়ে রেখেছিল।  তারা সর্ব পরি ভাল বন্ধু ছিল। মিশেল ওবামার মত সুজানার জীবনে কোন উদ্দেশ্য ছিল না। জীবনের প্রতিদিন সে মজা করত অ্যান্ডও উল্লাসে কাটিয়ে দিত। অন্যদিকে মিশেল ওবামার একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য ছিল।

 

হঠাৎ তার এক বন্ধু একদিন মারা গেল এবং খুব কষ্ট পেল তখন সুজনের বয়স ২৬মিশেল ওবামার  বয়সও একই। সুজানা  মূলত ক্যান্সারে আক্রান্ত  হয়ে মারা গিয়েছিল। এ মৃত্যু মিশেল ওবামা মনে এক গভীর ক্ষত সৃষ্টি করল এবং জীবনের একটি ক্ষণস্থায়ী পরিস্থিতিকে মনে করিয়ে দিত। এরপরে মিশেল ওবামার বাবা হুইলচেয়ার থেকে এখন শয্যাশায়ী হয়েছে খুব কম নড়াচড়া করতে পারে কিন্তু একদিন তার বাবা ও মারা গেল ৫৫ বছর বয়সে। মিশেল ওবামার হৃদয়টা শূন্য হয়ে গেল এবং অনেক ব্যথিত হল। বিশাল তখন অনুভব করতে লাগলো যে পার্টিতে গিয়ে ওয়াইন খাওয়া, সুন্দর গাড়িতে চড়া, নিয়মিত বিল পরিশোধ করা এবং এলিট ক্লাবের সদস্য হওয়া  জীবনে উদ্দেশ্য নয়। জীবনের অন্য এক গভীর উদ্দেশ্য রয়েছে এবং সেটা করতে  করতে হবে। মোটা দাগে সেই উদ্দেশকে সে এড়িয়ে যেতে পারে না!

আমাদের মূল্যবোধ যেকোনো অর্থ সম্পত্তির থেকেও বেশি সন্তুষ্টি দেয় 

মিশেল ওবামা তার সুযোগ সুবিধা গুলোকে সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে শুরু করল এবং তার আশেপাশের পরিচিতজনদের থেকে সে তাদের সামাজিক অবস্থার উন্নত করার জন্য চেষ্টা করতে থাকলো। সে নতুন একটি চাকুরী নিলো। যদিও আইন ফার্ম থেকে তার চাকরিটা ছেড়ে আসতে কষ্ট হলো কারণ নতুন পরিবেশ এবং বেতন কম কিন্তু বারাক ওবামা তার প্রধান সহযোগী হয়ে গেল বারাক ওবামা তাকে সাহায্যের সাহস দিল এবং বলল যে তারা দুজন মিলে অনেক কঠিন সময় মোকাবেলা করতে পারবে এবং সত্যি তাই হল। মেয়র অফিসে কাজ করার সময় তার অনেক সুন্দর সুন্দর বন্ধু জুটলো এবং অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী তৈরি হলো এবং মেয়র অফিসে মিসেল ওবামা ও একটি পূর্ণ মেয়াদে চাকরি পেয়ে গেল।

 

এরপরে বারাক ওবামার সাথে তার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে গেল এবং এই সিদ্ধান্ত তার জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ছিল তার সমস্ত ধরনের হতাশা ভয় থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য। তার পরবর্তী দায়িত্ব ছিল একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী সদস্য হিসাবে পদায়ন।

যারা বঞ্চিত পীড়িত তাদের পাশে আমাদের দাঁড়ানো উচিত

মিশেল ওবামার টিম অল্প আয়ের ট্যালেন্ট যুবক-যুবতীদের খুঁজছিল ট্রেনিং এবং ইন্টার্নশিপ এর জন্য যাতে তারা ভলান্টিয়ার কাজগুলো করতে পারে এবং পরবর্তীতে তারা তাদেরকে চাকুরী  দিতে পারে। মিশেল ওবামা ছিলেন  মেন্টর। কিশোর কিশোরীদের রোল মডেল। এলাকার যুবক-যুবতীদের সাথে বন্ধুর মতো আচরণ করতো তাদেরকে দারিদ্রতা থেকে মুক্তির জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে দিল এবং একটি মানবিক সন্তুষ্টি তাদের মধ্যে জাগ্রত করলো। মিশেল ওবামা এবং বারাক ওবামার সংসারের অর্থনৈতিক সংকট লেগেই থাকতো তবুও তারা ও লাভজনক জনকল্যাণমূলক কাজগুলোকে নিয়োজিত থাকতো। পরবর্তী দুই দশক তাদের কাজের একটি গুরুত্ব এবং তাৎপর্য তৈরি হলো জনগণের কাছে। 

 

ইতিমধ্যে তাদের সংসারে দুইটা সুন্দর ফুটফুটে কন্যা সন্তান মালিয়া এবং শাশা জন্ম নিয়েছে তাদের বয়সের ব্যবধান তিন বছর। 

 

মিশেল ওবামা রাজনীতি পছন্দ করত না। এটাকে সে নোংরা বিপদজনক এবং অসৎ ব্যবসা মনে করত। তার স্বামী বারাক ওবামা নিজেকে একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচয় করাতে শুরু করল এবং বিশ্বাস করত যে সে দেশকে একটি বড় ধরনের পরিবর্তন করাতে পারবে। মিশেল ওবামাও এটা বিশ্বাস করতো। যদিও বারাক ওবামার বিভিন্ন রাজনৈতিক ক্যাম্পেইন গুলোতে সাহায্য করত এবং সক্রিয়ভাবে নিয়োজিত থাকতো একটা সময়ে একজন রাজনীতির স্ত্রী হিসাবে যদিও তার এই পরিচয় তার পেশার সাথে যায় না তাই মিশেলবামা সিদ্ধান্ত নিল তার জবাবটা ছেড়ে দেবে এবং সে পরিবার দেখাশোনা করবে। তার স্বামীকে সাহায্য করবে। 

 

বারাক ওবামা যখন প্রেসিডেন্ট হয়ে গেল তখন তার উপর অনেক দায়িত্ব। বারাক ওবামা এবং মিশেল ওবামা তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিল তাদের সততা এবং নৈতিকতা দিয়ে দেশকে ভালো কিছু উপহার দেওয়া। যখন বারাক ওবামা দেশের অর্থনৈতিক সমস্যা নিয়ে খুবই স্ট্রাগল করতে থাকলো মিশেল ওবামা তার প্রচারণা স্বাস্থ্য খাতে মনোনিবেশ করলো।

 

মিশেল ওবামা বড় বড় কারখানাগুলোর চিনি উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে শিশুদের স্থূলতা একটি গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে নামাতে পেরেছিলেন। দেশের ফার্স্ট লেডি এবং তার হাসবেন্ড দেশের সেনাবাহিনী, প্রবীন জনগোষ্ঠী এবং ফ্যামিলি সদস্যদের অবস্থা উন্নত করতে পেরেছিলেন। মিশেল ওবামার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য ছিল বঞ্চিত যুবসমাজকে অর্থনৈতিক মুক্তি দেয়া এবং কিশোরদের নিয়ে বিভিন্ন প্রোগ্রামে সে মেন্টরিং করত। সে বিশ্বাস করত যে প্রত্যেকটা শিশুর মধ্যেই একটি সুপ্ত প্রতিভা রয়েছে সেগুলোকে বিকশিত করতে পারলেই একটা দেশ উন্নত হয়ে যাবে। মিশেল ওবামা প্রতিটি শিশুর মধ্যেই বিকশিত হওয়ার একটি সুযোগ করে দিতেন যাতে সমস্ত পৃথিবী পরিবর্তন হয়ে যায়। আমার এই গল্প থেকে আমরা জানতে পারি যে ভালো যে কোন কিছু কখনো আটকানো যায় না থামানো যায় না। বিশ্বাস এবং ধৈর্য নিয়ে কাজ করলে সফলতা আসে।