Colorgeo

Classroom for Geology and Disaster

Self Development সুন্দর উপস্থাপনার মন্ত্র কি?

Spread the love

Self Development এর জন্য সুন্দর উপস্থাপনার মুল মন্ত্র কি?

দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করে রাখা এবং সেই পরিকল্পনামাফিক সারাক্ষণ ব্যস্ত থেকে প্রস্তুতি নিয়ে কোন একটি বিষয় উপস্থাপনায়  বিশেষ করে  আপনি যদি আশানুরূপ উপস্থাপনা করতে না পারেন তবে সারাক্ষণ নতুন এক চিন্তা উৎপন্ন হয়, কেন আমি সুন্দরভাবে উপস্থাপনাটা করতে পারলাম না?  এই উপস্থাপনা হতে পারে গান, আবৃত্তি, বক্তৃতা, কোন ব্যবসায়িক উদ্যোগে প্রেজেন্টেশন বা বিজনেস প্রেজেন্টেশন অথবা গবেষণা প্রস্তাবনা, এমনকি ছাত্র-ছাত্রীদের সবথেকে বহুল প্রচলিত একাডেমিক থিসিস প্রেজেন্টেশন।

মনে উদয় হয়, ইস! যদি ওই ভুলটা না করতাম, তাহলে উপস্থাপনাটা কতই না সুন্দর হতো! উপস্থাপনা করতে গিয়ে সঠিক শব্দ চয়ন বুঝতে না পারা অথবা খুঁজে না পাওয়া এবং দীর্ঘদিনের সাজানো পরিকল্পনা মাফিক উপস্থাপনা করতে পারা এই বেশিরভাগ সময়ই আমরা এই ধরনের সমস্যায় পড়ে থাকি কিন্তু এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার কি কোন ব্যবস্থা রয়েছে? অবশ্যই রয়েছে।বিস্তারিত জানতে এবং নিজেকে সাবলীল ভাবে দৃঢ় প্রত্যয় সবার সামনে উপস্থাপন করার জন্য  অথবা Self Development করার জন্য নিচের লেখাটি সম্পূর্ণ পড়ুন। 

আমি এখানে “প্রেজেন্স” নামের একটি বহুল প্রচারিত বইয়ের সারাংশ তুলে ধরবো যা আপনাকে বইটি সম্বন্ধে একটি ধারণা দিবে বইটি মূলত Self Development এর জন্য নিজের সুন্দর উপস্থিতির মাধ্যমে আপনার সারা জীবনের সফলতার জন্য (Self Development) মূল চাবিকাঠি তার একটি ধারনা পাবেন।  চলুন বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

Self Development

বর্তমান সময়ে আমরা শুধু শারীরিকভাবেই উপস্থিত থাকি না। শারীরিক উপস্থিতির সাথে যে কোন স্থানে যেকোনো সময় যেকোনো কাজে আমাদের মানসিক উপস্থিতিও থাকতে হয়। 

মানসিক ও শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকাতে যে বিষয়গুলো সুন্দর সমন্বয়ভাবে সংযুক্ত করতে হয় তা হলোঃ

১।  আপনার যোগ্যতা অনুসারে আপনার চিন্তা ও আবেগের সমন্বয়ে ঘটানো

২। নিজের মধ্যে পরিপূর্ণভাবে উপস্থিত থাকলে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া ও বিভিন্ন পরিস্থিতির সাথে সম্পূর্ণরূপে মিশে যাওয়া যায় ।

৩। সঠিকভাবে অন্যদের সাথে ব্যবহার করতে শেখা যায়। এবং নিজেকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তোলা যায় এবং বিশ্বাসী হওয়া যায়। 

যদিও এই শারীরিক ও মানসিক সমন্বয়কে খুব সহজেই অবমূল্যায়ন করা হয় যে এর কোন প্রভাব ব্যক্তিজীবনে পড়েনা কিন্তু প্রকৃতপক্ষেই এর একটি প্রভাব রয়েছে আপনার দীর্ঘমেয়াদি জীবনের ক্ষেত্র। মানুষের মনে চিরস্থায়ী একটি প্রভাব তৈরি করার জন্য এবং ব্যক্তি জীবনের সফলতার (Self Development) জন্য সুন্দর ও সাবলীলভাবে উপস্থাপনা খুব গুরুত্বপূর্ণ ।

 

যদি আপনি নিজেকে চিনতে না পারেন বেশিরভাগ সময়ই যে কোন বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী হতে পারবেন না। সদা সংশয় থাকবে আপনার মনে। আমরা আমাদের কে প্রকৃতপক্ষে চিনতে পারিনা আর এর থেকেই সমস্ত সংশয় অবিশ্বাস ও পরাজয়ের শুরু।

তিনটা জিনিষকে আমরা সম্মুখে রেখে জীবনকে Self Development এর জন্য আরো সুন্দর করতে পারি

১। আমাদের অভিজ্ঞতা 

২। আমাদের চিন্তার দর্শন  বা চিন্তা করার দৃষ্টিভঙ্গি এবং 

৩।যেকোনো সমস্যাকে মোকাবেলা করার প্রক্রিয়া ও পদ্ধতি

 

এই তিনটি বিষয়কে যদি আমরা আরো বিস্তারিত ভাবে চিন্তা করি এবং এর ভিত্তিতে জীবনকে চালনা করি তবে জীবন পথ আরো সহজ হয়ে যায়। আমরা  ভুল থেকে শিক্ষা নিতে পারি। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা ভবিষ্যতের জন্য কাজে লাগাতে পারি।

আমাদের কখনোই অতীতের ব্যথা নিয়ে পড়ে থাকা উচিত নয় বা শোচনা করা উচিত নয় বরং অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিতে হয়। যে কোন খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হলে তা মনে রাখতে হয় যাতে ভবিষ্যতে একই ধরনের সমস্যায় আমরা সম্মুখীন  না হই।

 

আমাদের সর্বদা ইতিবাচক থাকতে হবে।

আমরা অনেকেই এই ইতিবাচক থাকার অর্থ বুঝতে পারি না । যেমন ধরুন আপনার স্ত্রী আপনাকে এক কাপ কফি বানিয়ে আপনাকে দিল এবং আপনি বললেন যে চিনি কম হয়েছে । প্রতিউত্তরে আপনার স্ত্রী বলল যে চিনি কম হয়েছে! তার মানে আমি কফি বানাতে পারি না? এবং সে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বলতে থাকে যে, সে কখনোই ভালো কফি বানাতে পারেনা বিশেষত তার স্বামীর জন্য কাছে। 

এই ঘটনায় আপনি কি বুঝতে পেরেছেন স্ত্রী নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে রয়েছে কারণ যে কোন কিছু কাজ করার সময় ভুল হতেই পারে এবং সেই ভুলের ব্যাপারে কেউ কথা বলতেই পারে তার অর্থ এই নয় যে ওই নির্দিষ্ট ঘটনার জন্য আপনার নিজের অভিজ্ঞতার প্রতি সংশয় তৈরি করা অবিশ্বাস তৈরি করা আস্থা হীন হয়ে পড়া উচিত।

কোন ছোট একটি ঘটনা আপনার অতীতের অভিজ্ঞতা কে নষ্ট করতে পারে না। যদি আপনি সেটাকে তেমন ভাবে প্রশ্রয় না দেন যদিও ছোট ছোট ঘটনাগুলো নিয়েই আমাদের অতীত তৈরি হয় এবং আমরা আরো বেশি পরিপক্ক হয়ে উঠি তাই ছোটখাটো ভুল হলে সমস্ত অভিজ্ঞতাকে সংশয়ে ভরিয়ে দেয়া উচিত নয়। এটাকে বলা হয় নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি অর্থাৎ কোন একটি বিষয়কে অগ্রসরমান দৃষ্টিতে না দেখে পশ্চাৎপদ দৃষ্টিতে দেখা। তাই আমাদের জীবনের ক্ষেত্রেও আপনাকে ইতিবাচক হতে হবে। সমস্ত কিছুতেই ভালো কিছু রয়েছে বা হবে বলে ভাবতে হবে।

খারাপ কোন কিছু ঘটে গেলেও তার থেকে অভিজ্ঞতা  নিন

খারাপ কোন কিছু ঘটে গেলেও তার থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে পুনরায় তার পুনরাবৃত্তি হবে না এর জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে কিন্তু সেটাকে  ধরে বসে থাকা চলবে না। কেউ আপনার সম্বন্ধে খারাপ মনোভাব নিয়ে কথা বলবে বা খারাপ দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করতে পারে। আপনার সম্বন্ধে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে পারে কিন্তু আপনি যদি সবার প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন তবে সেই নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির বন্ধুটি ও আপনার মঙ্গল কামনা করতে পারে ।এটাই হলো ইতিবাচক হওয়ার সবথেকে বড় সব সুফলতা।

তাছাড়া যে কোন কিছুতে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থাকলে মন মানসিকতা সৃজনশীল কর্ম এবং প্রাত্যহিক জীবনে এর একটি প্রভাব পড়ে ।কিন্তু ইতিবাচক থাকলে সংশয় পূর্ণ পরাজয়ের গভীর খাদ থেকেও উঠে আসা যায়। ইতিবাচক থাকলে মানুষের কাছে বিশ্বাসী হওয়া যায়। 

 

দুর্যোগ বা দুর্ভোগ বা ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হলেও তা বিবেচ্য রেখে পরিকল্পনা

অন্য যে উপায়টি রয়েছে আপনি অনুসরণ করবেন তা হলো যেকোনো ধরনের দুর্যোগ বা দুর্ভোগ বা ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হলেও তা বিবেচ্য রেখে পরিকল্পনা করতে হবে।

দুঃখ দুর্দশাকে লুকাবেন না তবে সম্মুখে আনবেন না। যে কোন চিন্তা কাজে দুর্দশা থাকতেই পারে তবে তাকে বেশি গুরুত্ব দিবেন না । সেই খারাপ অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিতে হবে মাত্র।। আপনার অভিজ্ঞতা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও জীবনের অতীতে ঘটে যাওয়া দুঃখময় ঘটনাগুলোকে বিবেচনায় রেখে আপনি যদি কাজ করে যেতে পারেন তবে জীবনের সফলতা (Self Development) সুনিশ্চিত।

সবাই কথা বলতে চায় কেউ কথা শুনতে চায় না যেকোনো সাক্ষাৎকারে অথবা আলোচনা কথা বলার চেয়ে শুনবেন বেশি এতে আপনার কয়েকটি বিষয়ে ভালো ফল দেবে তা হল সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনি যথেষ্ট সময় ও চিন্তার সুযোগ পাবেন সঠিক শব্দ প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে শারীরিক ও মানসিক সমন্বয় ঘটবে আপনার উপস্থাপনে যে কোন বিষয় সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারলে আপনার ব্যক্তিত্বে প্রভাব পড়ে।

কথা শোনার অভ্যাসটি তৈরি করা খুবই কঠিন তবে অভ্যাস তৈরি করুন। 

বাঙালি কবি কামিনী রায়ের একটা কবিতায় উদ্ধৃতি আছে 

পাছে লোকে কিছু বলে।

করিতে পারি না কাজ

সদা ভয় সদা লাজ

সংশয়ে সংকল্প সদা টলে –

পাছে লোকে কিছু বলে।”

 

সমস্ত গুণগুলো আমরা ফুটিয়ে তুলতে পারি না শুধুমাত্র একটি কারণে তা হলো লোক লজ্জা অথবা নিজের আত্মবিশ্বাসের অভাব এর থেকে মুক্তির উপায় কি? এর থেকে মুক্তির একটি উপায় রয়েছে। তা হলো কর্মে শতভাগ মনোযোগ দিতে হবে । 

১। কর্মটাকে গুরুত্ব দিন পারিপার্শ্বিক অবস্থাকে নয়।  আপনার পারিপার্শ্বিক অবস্থা  যা হোক না কেন তা কখনোই খেয়াল করবেন না 

২। কাজটাকে শতভাগ মন দিয়ে করুন  

৩। কাজে লেগে পড়ুন যে অবস্থায় রয়েছেন আজ

 

নিজেকে দক্ষ ও যোগ্য ভাবা একটা অসাধারণ ব্যাপার। যদি আপনি নিজেকে দক্ষ ও যোগ্য ভাবতে পারেন তবে আপনার উৎসাহ বৃদ্ধি পায় কাজে ।  নিজেকে মানসিক এবং শারীরিকভাবে সমন্বয় করে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করুন। শারীরিক অবস্থার উন্নতির সাথে মানসিক অবস্থার ইতিবাচক পরিবর্তন হয় তাই শারীরিকভাবে নিজেকে ফিট রাখুন। যে কোন উপস্থাপনায় ভালো পোশাক পরিধান করুন এবং নিজেকে পরিচ্ছন্ন রাখুন। সক্ষমতা ও দুর্বলতা কে জানুন এবং কাজ শুরু করে দিন।

 

পরিশেষে Self Development এর জন্য  সর্বদা তিনটি বিষয়ে মনে রাখুন। আপনার অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য কাজ করুন। সর্বদা ইতিবাচক মনোভাব  বা দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করুন এবং যে কোন দুঃখ দুর্দশা আসবে এটা মেনে নিয়েই কাজে লেগে পড়ুন ব্যর্থতা আসলেও মেনে নিয়ে পরবর্তী পরিকল্পনার জন্য এগিয়ে যান।

65 Soft skills for resume of a student

DSM 412: Presentation Skills