Colorgeo

Classroom for Geology and Disaster

কে এই বিষ্ণুপ্রিয়া রূপে গুনে অতুলনীয়া

বিষ্ণুপ্রিয়া
Spread the love

কে এই বিষ্ণুপ্রিয়া

পঞ্চতত্ত্বের ব্যাখ্যা সাধারণত পঞ্চতত্ত্বের যে চিত্রপট আমরা দেখিতে পাই তাহার পরিচয় নিম্নে দেয়া হল:

মধ্যস্থলে গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু , মহাপ্রভুর বামপাশে গদাধর, মহাপ্রভুর দক্ষিণ পাশে নিত্যানন্দ প্রভু, নিত্যানন্দ প্রভুর দক্ষিণ পাশে অদ্বৈত, প্রভুর গদাধরের বাম পাশে শ্রীবাস পন্ডিত।
পঞ্চতত্ত্বের ব্রজলীলা স্বরূপ

গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু কলিযুগে রাধাকৃষ্ণ মিলিত অবতার।নিত্যানন্দ প্রভু কলিযুগে বলরাম অবতার।

অদ্বৈত প্রভু কলিযুগের অবতার মহা বিষ্ণুর অবতার। গদাধর পন্ডিত কলিযুগে মহা রাধিকা ভাবে ভাবিত অবতার। শ্রীবাস পন্ডিত কলিযুগে দেবর্ষি নারদ এর অবতার।
ষড় গোস্বামী স্মরণ বন্দনা

জয় রূপ সনাতন ভট্ট রঘুনাথ

শ্রীজীব গোপাল দাস রঘুনাথ

এই ছয় গোসাই করি চরণ বন্দন

যাহা হইতে বিঘ্ন নাশ অভিষ্ঠ পূরণ।

ষড় গোস্বামী গণের ব্রজলীলা স্বরূপ

ব্রজলীলা যাহারা গোপী ভাবে শ্রীকৃষ্ণের সেবা করিয়াছিলেন তাহারাই আবার কলিযুগে গোস্বামী রূপে মহাপ্রভুর রূপে পার্ষদ

লীলা করিয়াছেন। এই জন্য এইসব গোস্বামী স্বরূপ কি ছিল তা নিম্নে দেয়া হল
শ্রী রূপ গোস্বামী >>রূপমঞ্জরী
সনাতন গোস্বামী,>> লবঙ্গ মঞ্জুরী
রঘুনাথ গোস্বামী >>রসমঞ্জুরি
শ্রী জীব গোস্বামী >>বিলাস মঞ্জুরি শ্রীনিবাস আচার্য প্রভু মহাপ্রভুর দ্বিতীয় কলেবর

নরোত্তম ঠাকুর মহাশয় নিত্যানন্দের দ্বিতীয় কলেবর

শ্যামানন্দ প্রভু অদ্বৈত আচার্য এর দ্বিতীয় কলেবর রামচন্দ্র কবিরাজ গদাধরের দ্বিতীয় কলেবর

বিষ্ণুপ্রিয়া কে?

বিষ্ণুপ্রিয়া

মুভি

বিষ্ণুপ্রিয়া দেবী নবদ্বীপে সনাতন মিশ্র নামক এক অতি জ্ঞানী এবং শাস্ত্রজ্ঞ পন্ডিত বাস করিতেন তাহার কন্যা আদি নিবাস ছিল মিথিলা।

নবদ্বীপের জনগণ তাকে সম্মান করেছেন তারপরও ভক্তিমতী ঘরের নাম ছিল মহামায়া দেবী। মহামায়া দেবী লক্ষী স্বরূপিনী বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর আবির্ভাব-তখন বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর জন্ম হয়। নানাপ্রকার শুভসূচনা পরিলক্ষিত হয় সূতিকাগার আলো করিয়া এই শিশু মাতৃ ক্রোড়ে পদার্পন করিয়াছেন ।
 
কন্যার লক্ষণ এবং ভুবনমোহিনী রূপ-লাবণ্য মহামায়া দেবী সকল কেই আকৃষ্ট করিয়াছেন। কতক্ষণে তাহার স্বামী মিত্র মহাশয় যে বাড়িতে আসবেন যে তাকে একটু দেখাইতে পারবেন। এমন সময়ে মিত্র মহাশয় সূতিকাগার সন্নিকটে গিয়া নবজাতকের দেখিয়া ও আনন্দে অভিভূত হইয়া গেলেন এবং ভাবিতে লাগিলেন যে এত রূপ লাবণ্য কি মানুষের সম্ভব ।
 
এমন সময়ে আকাশ হইতে কে যেন দৈববাণী করিলেন যে তুমি ইহাকে চিনতে পারছ না ?
 
ইনি তোমার আরাধ্য দেবতা শ্রী বিষ্ণুর বিষ্ণুপ্রিয়া দেবী। জগন্নাথ মিশ্রের গৃহে নারায়ন আবির্ভূত হয়েছেন আর আজ তোমার গৃহ লক্ষী দেবীর আবির্ভাব হলো । এইভাবে ব্রজলীলায় আবির্ভূত হয়েছিলেন কলিযুগে বিষ্ণুপ্রিয়া রূপে এবং তার পিতা সনাতন মিত্র মহাশয় ছিলেন ব্রজলীলা সত্রাজিত রাজা।অর্থাৎ জন্ম খন্ড হইতেই সনাতন মিত্র মহাশয় বুঝলেন যে তার ভাগ্য সুপ্রসন্ন ।

এভাবে বিষ্ণুপ্রিয়া দেবি মাতা পিতার স্নেহা শীষে

দিনে দিনে বড় হতে লাগলেন এবং ক্রমশ তার রুপের ছটায় সকলকে মোহিত করলেন ।

মাতার সাথে প্রত্যহ তিনি গঙ্গাস্নানে যেতেন এবং সেখানে শচী মাতার সাথে তাহার প্রথম সাক্ষাৎ হয় ।শচীমাতার মনে একমাত্র ভাবনা কি করে এই বালিকাটিকে নিজ পুত্র বধু করতে পারা যায় ।

অবশেষে বিষ্ণুপ্রিয়া দেবী যখন একাদশ বর্ষে পদার্পন করলেন তখন তার পিতা-মাতা কন্যার বিবাহের জন্য বিশেষ চিন্তিত হয়ে পড়লেন। মনে এই যে তিনি যেন নিমাই পণ্ডিতের সাথে তার কন্যার বিবাহ দিতে পারেন ।
 
আবার শচীমাতার মনের গুপ্ত বাসনা ও তদ্রুপ কারণ প্রথমা স্ত্রী লক্ষীপ্রিয়া গত হতে শচীমাতা নিমাই এর জন্য পাত্রীর সন্ধানে চিন্তিত ছিলেন অর্থাৎ দু’পক্ষের ইচ্ছা এমন কিন্তু যোগাযোগের অভাব এমনি সময়ে মিত্র মহাশয় নবদ্বীপের প্রখ্যাত ঘটক কাশীনাথকে এই প্রস্তাব করলেন।

বিষ্ণুপ্রিয়া যাত্রাপালা