colorgeo.com

Disaster and Earth Science

শেখ মুজিবের সহ ধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন্নেসসা মুজিব ও তাদের কনিষ্ঠ ছেলে শেখ রাসেল সহ পার্শ্ববর্তী গৃহে আত্মগোপন করার ১ ঘণ্টা পর— Genocide Episod-5

Refugee

শেখ মুজিবের সহ ধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন্নেসসা মুজিব ও তাদের কনিষ্ঠ ছেলে শেখ রাসেল সহ পার্শ্ববর্তী গৃহে আত্মগোপন করার ১ ঘণ্টা পর অন্য একটি আর্মি ট্রাক আসে। সৈন্য বাহিনী ঘরে ঢুকে সমস্ত গ্লাস আসবাবপত্র ফ্লোরে থাকা সমস্ত জিনিস পত্র ভেঙ্গে ধূলিসাৎ  করে। দেয়ালে টানান ফটো ও চিত্র গুলো মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। শেখ মুজিব কে এরেস্ট করার পর ৭ দিন তাকে সেনা শাসনে  অবরুধ করে রাখা হয়। শেখ মুজিব কে করাচীতে নিয়ে যাওয়ার আগে পর্যন্ত  কোন জেল বা সেনানিবাসের কোন স্থানে রাখা হয়নি বরং ঢাকা শহরের বিভিন্ন বাড়িতে  ভারী অস্ত্র শস্ত্রও সহ কড়া নিরাপত্তায় অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।

 মিস্টার ভুট্টো, তিনি জানতেন যে বাঙালি তাকে পছন্দ করে না। তিনি ঢাকার একটি হোটেল লবিতে সাংবাদিকদের সামনে কঠোর নিরাপত্তা সহ সাংবাদিক দের প্রশ্নের জবাবে বলেন ” আমার কোন মন্তব্য নাই” হোটেল ত্যাগ করার পূর্বে ঢাকা রেডিও বার্তায় বলায় হয় যারা কার্ফু আইন লঙ্ঘন করবে তাদের কে গুলি করা হবে।  তারপর ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট পর উর্দু ভাষায় পাকিস্থানের জাতীয় সঙ্গীত বাজতে বাজতে বিমান যোগে ঢাকা ত্যাগ করেন। কূটনৈতিক মিশন গুলো বাতিল করা হয়। হোটেল থেকে বিদেশি জার্নাল গুলো বুঝতে পারেনি যে ইস্ট পাকিস্থান রাইফেল ও ইস্ট বেঙ্গল  রেজিমেন্ট এর কি ভূমিকা আছে? মূলত বেঙ্গল আর্মিগুলো ঢাকা শহর থেকে ২৫ মাইল দুরে অবস্থান করছে তখনও। দুপুরের পরে, আরিলারি ও গুলির শব্দ শোনা যায়, যদিও ঢাকা রেডিও ঘোষণা করে যে পূর্ব অঞ্চলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। দুপুর, ২ টায় হোটেলে অবস্থিত সাংবাদিক গন কে আর্মি বার্তায়  বলা হয় তাদের কে  সন্ধ্যা ৬ তার মধ্যে হোটেল ত্যাগ করতে হবে। সাংবাদিক গন তাদের বিল পরিশোধ করে ব্যাগ গুছিয়ে হোটেল ত্যাগ  করে। এ সময় সেনা সহ ৫টি   ট্রাক  সাংবাদিকদের তল্লাসি করে বিমান বন্দরে নিয়ে যায় এবং রাত ৯ টায় তারা করাচীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। বিদেশি সাংবাদিকগণ বুঝতে পেরেছিলেন যে তাদের প্রস্থানের পরে অতি অল্প সময়ে কোন নারকীয় হত্যা যজ্ঞ (Genocide) হতে চলেছে।

 বাংলাদেশ সরকার ধারনা করে যে, ১৯৭১ সালের ২৫-২৬ মার্চ এই ২৪ ঘণ্টায়  শুধু মাত্র ঢাকা শহরেই অন্তত ১৫০০০ নিরীহ বাঙালিকে হত্যা করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়, মার্চ ২৫ থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, যশোর, রাজশাহী, ময়মনসিং, শহরে ১৮০০০০ মানুষকে হত্যা করা হয়। প্রথম দিকে এ নারকীয় হত্যা যজ্ঞ করা হয়েছিল  সেই সব শহরে এবং ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় যেখানে ইস্ট বেঙ্গল রেজমেন্ত ও ইস্ট পাকিস্থান আর্মি মজুত থাকতো। মানুষ শহর থেকে গ্রামে পলায়ন করেছে তাদের মধ্যে কেউ কেউ প্রাণে বেঁচেছে কেউ  বা বলি হয়েছে।

বারাদা, গুলশান এলাকায়  একটি ছোট্ট গ্রাম, সেখানে সেনা বাহিনী এপ্রিল ২ তারিখে  সকালে তল্লাশি চালান হয়।   প্রায় ৬০০ গ্রাম বাসিকে অস্ত্রের মুখে গুলশান পার্কে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড় করানে হয় এবং জিজ্ঞাসা বাদ করা হয়। সারাদিনের নির্যাতনের পর ৪৮ জনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়, তাদের মধ্যে প্রধানত হিন্দু, রাজনৈতিক ব্যক্তি, ছাত্র , শিক্ষক ছিল। আর্মি মূলত তাদের প্রতি আগ্রহী বেশি ছিল।

এপ্রিল এর ১ তারিখে ঢাকার  জিঞ্জিরা এলাকা তে ধ্বংস যজ্ঞ চালান হয়।  জিঞ্জিরা অপারেশন এ কমপক্ষে ১০০০০ মানুষ কে হত্যা করা হয়।  বুড়িগঙ্গা নদীতে নিরীহ নাগরিক কে হত্যা করে ফেলে দেয়া হয়। জিঞ্জিরা থেকে কমপক্ষে ১০০০০০ মানুষ পালিয়ে বাঁচে।

ডক্টর ডেভিড রুথ, ব্রিটিশ চিকিৎসক সেই সময়ে ঢাকার গুলশান এলাকাতে ছিল,  দেখা গিয়েছে যে শিশু পার্কে নিরস্ত্র ইস্ট পাকিস্থান রাইফেল এর সদস্যদের। পাক  আর্মিরা মার্কেট থেকে খাবার লুট করছে এবং নিরস্ত্র EPR সদস্যদের জোর পূর্বক ট্রাকে তূলে নিয়ে যেতে।হাজার হাজার বাঙালি পুলিশ ও ইস্ট বেঙ্গল রাইফেল এর  সদস্যদের থেকে এর সত্যতা পাওয়া যায়। ছোট ছোট বাচ্চারা যারা গুলশান লেক এ  সাঁতরান অবস্থায় গুলি করে হত্যা করতে। পাক বাহিনীর বিমান থেকে বোম ফেলতে মাথার উপর দিয়ে উড়ে যেতে মানুষ ভয়ে সন্ত্রস্ত হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং সেল, ডক্টর ডেভিড রুথ এর বক্তব্য নিয়েছে এবং ৩০০০০০ মানুষের স্বাক্ষর সম্বলিত স্বারক পত্র আন্তর্জাতিক আদালতে জমা দেয়া হয়েছে পাক বাহিনীর যুদ্ধ অপরাধ এর বিচারের জন্য। 

আওয়ামীলীগের একজন স্বেচ্ছাসেবক মি নিখিল চন্দ্র সেন, শাঁখারি বাজারের বাসিন্দা, ২৫ মার্চ এর রাতের কথা বর্ণনা করেন, পাকিরা ঐ রাতে শাঁখারি বাজারের দুই প্রান্ত থেকে রাইফেল ও হালকা মেশিনগান দিয়ে আক্রমন করেছিল। তারা মানুষকে ইঁদুরের ধরার ন্যায় এর মত করে ফাঁদে ফেলেছিল এবং দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকেছিল। নাদির শাহ এর মত পাক সেনা যারা ধর্ষণ করছিল, লুট করেছিল, হত্যা ও মানুষকে বিকলাঙ্গ করে দিয়েছিল।  মি.  সেন বলেন  দুই দিন পরে যখন মাত্র দুই ঘণ্টার জন্য কার্ফু শিথিল করা হয়েছিল, তখন শাঁখারি পট্টি থেকে বুড়িগঙ্গা পার হয়ে জিঞ্জিরা, কাজিগঞ্জ ও গোলাম বাজার এলাকাতে মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল।

Table of Contents

আরও পড়ুন

Refugee

acritarchs Adaptation Opportunities Biomarker Climate Change COVID-19 Flood How to set up a Gas Chromatography-Mass spectrometry IGPAS letter of qualifications example Mineral Minerals Multiple Google Drive nobel Prize Padma Bridge Post doc in USA pragoitihasik durjog o gono biluptir upakkhan Raman Kumar Biswas scientific inventions Sylhet Flood TOC What is a biomarker ইতিহাস করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ গনবিলুপ্তি গন বিলুপ্তির কারণ চীনের প্রাচীর জেড পাথর কি টাকার ইতিহাস ডাইনোসর দুর্যোগ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ প্রথম বিশ্ব যুদ্ধ প্রাগৈতিহাসিক প্লেট টেকটনিক প্লেট টেকটনিক থিওরি বন্যা বাংলাদেশী মুদ্রা বাংলাদেশী মুদ্রা টাকার ইতিহাস ভাষা-শহীদদের-পরিচয় ভাষা আন্দোলন ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস মুক্তিযুদ্ধ সক্রেটিসের জীবনী স্কলারশিপ

Genocide