Colorgeo

Classroom of Money and Wisdom for Earth Science

কেন সম্প্রতি এতো বেশি ভূমিকম্প

কেন সম্প্রতি এতো বেশি ভূমিকম্প
Spread the love

কেন সম্প্রতি এতো বেশি ভূমিকম্প সংগঠিত হচ্ছে

ভূমিকম্পের মাত্রা ও তীব্রতা কমা বা বাড়া একটি সাধারণ ঘটনা। এর সাথে ভবিষ্যতের বড় কোন ভূমিকম্প সংগঠনের কোন সম্পর্ক নাই। ComCat earthquake catalog হল এমন একটি সংগঠন যারা প্রতি বছর ভূমিকম্পের সংখ্যা পরিমাপ করে থাকে।  এই সংগঠনের পরিমাপ কৃত ভূমিকম্পের সংখ্যা বৃদ্ধি এটা নির্দেশ করে না যে প্রতি বছর ভূমিকম্পের প্রকৃত সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ।

এটা  শুধু মাত্র কম্পের সংখ্যা পরিমাপক প্রযুক্তির উন্নতি বোঝায়। National Earthquake Information Center  বর্তমানে প্রতিবছর ২০০০০ ভূমিকম্প পরিমাপ করে থাকে। যা প্রতি দিন ৫৫ টি ভূমিকম্প।  এভাবে প্রযুক্তির উন্নতির জন্য মানুষের ভূমিকম্প সম্পর্কে আরও বেশি ধারনা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সচেতন হতে পারবে।

১৯০০ সাল থেকে দীর্ঘমেয়াদি পরিমাপের ভিত্তিতে বলা যায় যে প্রতি বছর সাধারণত ১৬ টি বড় ভূমিকম্প  হয়ে থাকে। যার মধ্যে ১৫ টি হল  ৭ মাত্রা মধ্যে আর ১ টি হল ৮ মাত্রার থেকে বড় ভূমিকম্প। গত ৪০-৫০ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা যায় যে, আমরা প্রতি বছর ১২ টি মত বড় ধরনের ভূমিকম্প ঘটার সম্ভাবনা ধরে রাখতে পারি।

২০১০ সালে মত ২৩ টি বড় ভূমিকম্প সংগঠিত হয়েছে। যা কিনা সাধারণ মাত্রা থেকে বেশি।  যদিও অন্যান্য বছরে কম সংখ্যক বড় ধরনের  ভূমিকম্প হয়েছে। ১৯৮৯ সালে মাত্র ৬ টি বড় ভূমিকম্প আর ১৯৮৮ তে পমাত্র ৭ টি। পরিশেষে বলা যায় যে প্রযুক্তির জন্য উন্নত হবে প্রতি বছর আমরা বেশি সংখ্যক ভূমিকম্প পরিমাপ করতে পারব। তবে ভূমিকম্প সম্বন্ধে কেউ এখন পর্যন্ত কোন সুনির্দিষ্ট পূর্বাভাস করতে পারে না।

কেন সম্প্রতি এতো বেশি ভূমিকম্প সংগঠিত হচ্ছে

সম্প্রতি বাংলাদেশ অনেক বেশি সংখ্যক ভূমি কম্প হচ্ছে। তবে এগুলোর মাত্রা ৪-৫ রিক্টার স্কেলের মধ্যে। তাই এটা মোটা মুটি একটি সাধারণ ঘটনা। খুব বেশি উদ্বিগ্নের কারণ নাই। কারণ ৪ মাত্রার নিচে ভূমিকম্পকে সাধারণ ক্যাটাগরির ভূমিকম্প হিসাবে ধরা হয়।

৪ মাত্রার নিচে ভূমিকম্প  রিং অফ ফায়ার বা প্রশান্ত মহাসাগরের পৃথিবীর টেক্টনিক প্লেট বাওন্ডারিতে প্রতিদিন ই সংগঠিত হচ্ছে। যেহেতু বাংলাদেশ এই মুহূর্তে ঝুঁকিতে রয়েছে বিশেষ করে ঢাকা শহরের উচ্চ ভবনের জন্য। তাই ৪ মাত্রার নিচের ভূমিকম্প ও মানুষের মনে ভীতির সঞ্চার করছে। আর বাংলাদেশের আসে পাশে যে প্লেট সক্রিয় রয়েছে এটা নিশ্চিত। তাই সতর্ক থাকতেই হয় আমাদের।  

 

বড় কোন ভূমিকম্পের পরে আফটার শক নামে ছোট ছোট ভূমি কম্প হয় এটা ঠিক তবে বড় কোন ভূমি কম্প হবার আগেই ছোট ছোট ভূমি কম্প হয়ে জানান দেবে যে বড় ভূমি কম্প আসছে এটা সম্পূর্ণ নির্ভুল ভাবে বলা যায় না।

কারণ চলমান প্লেট গুলো যখন কোথাও আটকে গিয়ে শক্তি সঞ্চার করতে থাকে তখন ছোট কোন ভূমিকম্প  ও পুরো সঞ্চিত শক্তিকে অবমুক্ত করতে পারে একে বলা হয় রিলিজ অফ স্ট্রেইন এনার্জি। তাই ছোট ভূমি কম্প হলেও অতি সম্প্রতি যে বড় ভূমি কম্প আসছে এটা একেবারে নিশ্চিত নয়। তবে সাবধান থাকতে হবে। 

 

ভূমিকম্পের পরে কি করতে হবে জানুন এখানে 

কেন সম্প্রতি এতো বেশি ভূমিকম্প